রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির বলরামপুর-ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভেজাল গুড়ের কারখানা। এতে করে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেভেন স্টার ডেইরী ফার্ম বন্ধ হওয়ার পর সেখানে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি ভেজাল গুড়ের কারখানা চালু করে। ক্যামিক্যাল ও চিনি মিশ্রিত গুড় বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। এসব কারখানায় জনস্বাস্থের ক্ষতিকর রাসায়নিক হাইড্রোজ, ফিটকারি ও রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কারখানায় তৈরিকৃত ভোজাল মিশ্রিত গুড় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষতিকর উপাদানে প্রস্তুত ভেজাল গুড় জনস্বাস্থ্যের সর্বনাশই নয়, ভোক্তার জন্য বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। এ ধরণের গুড় খেলে কিডনি ও পাকস্থলির নানা জটিল রোগ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর ধরে এখানে ভেজাল গুড়ের কারখানা চলছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ভেজাল গুড়ের কারখানা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
জানাতে চাইলে ভেজাল গুড়ের কারখানার মালিক ইউনুস আলী দাবী করেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা করা হয়েছে। বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহাদুরপুর ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর শাকিল বলেন, তার কার্যালয় থেকে ভেজাল গুড়ের কারখানার জন্য কোনো ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো কিছু চলা উচিৎ নয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে নেওয়ার মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
গত রবিবার যোগাযোগ করা হলে রাজবাড়ী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ভেজাল গুড়ের কারখানা বন্ধে খুব শিঘ্রই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার গুরুত্বারোপ করেন তিনি।